Archive | Uncategorized RSS feed for this section

Life is struggle

15 Jul

জীবনে সবাই কে ফাইট করতে হয় সেই ছোট বেলায় থেকেই শুনেছি ফাইটের ধরন ভিন্ন হয় কিন্তু লক্ষ থাকে এক ।ইন্ড অব দ্যা ডে সবাই বিজয়ী হতে চায় ।
প্রতেক্য মানুষের জীবনে সুখের পাশাপাশি কস্টের কাহিনীও আছে ।
কিন্তু বিস্ময়ের ব্যাপার হল সবার সু:খের কারন গুলো অনেক সময় এক হলেও কস্টের চিএ গুলো সম্পূন ভিন্ন ।

আমি আজ এমন একজনের সাথে ফোনে প্রায় ১ ঘন্টা কথা বললাম অনেক কথা হল সম্পর্কে বড় বোন বলেই নিজের দু:খের কথাও গুলো বললাম যা আমি কাউ কে বলি না উনি আমার কথা শুনলেন দু:খ করলেন আমার জন্য। কস্টের কথা গুলো বলার পর অন্য বিষয়ে কথা হল সেখান থেকে অন্য গল্প ।
এরপর উনি আমাকে উনার এই ১৪-১৫ বছরের কাহিনী কস্টের কথা গুলো বললেন
শুনে হাসি পেল এই গুলোও মানুষের দু :খের কারন
হয় । যদিও কারো কস্টের কথা শুনে হাসি দেওয়া উচিত নয় ।
বাস্তবে সবার কাছে সবার কস্ট গুলো অনেক বড় কস্ট
কেউ জুতা না পেয়ে কস্ট পায়
কেউ পা হারিয়ে কস্ট পায়

কেউ হাজার রকম খাবার নিয়েও কস্ট পায়
আবার কেউ একটা খাবারের জন্য কস্ট পায়
কারো বাবা মা জন্মের পরই মারা যায় তারা যেমন কস্ট পায়
আবার যাদের বাবা মা ১০০-৮০ বছর বেচে থেকে মারা যায় তারা ও কস্ট পায়
বিদেশে যারা থাকে তারা কেউ পরিবারের কাছে ৫ বছর পরে একবার যান বলে কস্ট পান
কেউ বছরে দুই বার যেতে পারেন না বলে কস্ট পান
কেউ কস্ট পান দামি গাড়ির জন্য
কেউ কস্ট পান একটি ভালো রিকসার জন্য

Tamim iqbal কিসের বলে দিনের পর দিন ব্যথর্ হয়ে খেলে যাচ্ছে

16 Jun

ফুটবল নিয়ে তো অনেক হল
ফুটবলের আড়ালের তামিমের টানা ব্যর্থ তার কথা সবাই ভুলে যাচ্ছে ।আর তামিম আন্ডা সুযোগ পেয়ে আড়ালে হাসছে ।
প্রশ্ন জাগে তা<!–more
মিম কিসের বলে দিনের পর দিন ব্যথর্ হয়ে খেলে যাচ্ছে যেখানে অন্য প্লেয়াররা এক ম্যাচ খারাপ খেললে বসে থাকতে হয়
তামিম কে কি আগামীকাল ও দেখা যাবে একাদশে ??!!!

ভাই বাংলাদেশ টিম টা কারো পরিবার নয় যে টানা ২০ ম্যাচ খারাপ করার পর সুযোগ হয়ে যাবে
চাচা থাকলেই যদি দলে থাকা যায় তাহলে
বলে দেখ না সবার সামনে যে আমি যতদিন বোর্ডে আছি ততদিন তামিম থাকবে দলে খারাপ খেললে থাকবে তাহলে কেউ আর বলবে না কেন দলে একটা ব্যথর্ প্লেয়ার ।

অপেনিং নেমে ১১বলে ডিম পারে এমন ডিফেনসিভ মনোভাবের একটা প্লেয়ার কিভাবে দলে থাকে ???
দিনের পর দিন ?? জুনায়েদ ইমরুল শামসুর রা কি দোষ করলো ফরহাদের টা দেখলেও বাংলাদেশে কিছু তামিমের কানা ভক্ত আছে যারা মনে করে তাদের তামিম ছাড়া বাংলাদেশ দল অসম্পুনর্ ???

এই তামিম কবে ভালো দলের সাথে রান করলো
উদাহরন দিবেন লডর্সে সেন্চুরী করেছে আর আগে ভালো খেলেছে ???একটা ফাউল প্লেয়ার কে করা হয় শেভাগের সাথে তুলনা
এই তামিমের কোন যোগ্যতা নেই বতর্মানে বাংলাদেশ দলে চান্স পাওয়ার

২০ ম্যাচ খেললে যে কেউ এক ম্যাচে রান পাবে তখন আবার বলবেন হেটাররা গেল কই
ক্লাস পারমানেনট এই সেই তামিমের ছবি দিবেন প্রোফাইলে

শেষ কথা যে কাউ কে সাপোর্ট করনে কিন্তু কারো অন্ধ ভক্ত হবেন ।দল কানা আর ব্যক্তিকানা হবেন না দয়া করে ।
আশা করি টিম ম্যানেজম্যান্ট তামিমের মত ব্যথর্ ক্রিকেটার কে দল থেকে বাহির করে দিবে পরে ঘরোয়া লীগে ভাল করলে সুযোগ দিবে ।

20140616-035045 am.jpg

সবাই নিজেকে প্রমান করে দলে আসছে -আশরাফুল

26 Mar

প্রথমে কথা বলতে চাইছিলেন না ভীষন হতাশ দেখা গেল কিন্তু পরে অনুরোধ করার পর রাজী হলেন এবং যা বললেন দৈনিক প্রারিপ্রেক্ষিকের ক্রীড়া সাংবাদিকের কাছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক -আশরাফুল :

*কেমন আছেন ?
আশরাফুল : হাসি দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ,আপনি
: ভাল
*খেলা দেখেছেন ?
আশরাফুল: হাসি দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের খেলা হলে সবার আগে ।

*কেমন লাগলো ৯৮ রানে অল আউট ?অথচ প্রথম বিশ্বকাপে আপনার নেতুত্বে এদের কে আমরা হারিয়েছি ?

আশরাফুল: হ্যা ,সবার মত আমি ও হতাশ হয়েছি আসলে এত সহজে আমরা ম্যাচ কবে হারছি বলতে পারবো না ।তবে এই খারাপ সময়ে সবার সাপোর্ট দরকার ।আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে ।

*আপনি আগের সব কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন এই !বিশ্বকাপে আপনি নেই এই দল নিয়ে আপনার কি মত

আশরাফুল:হ্যা ,দেখেন এই দলের সবার সামথর্্য আছে ম্যাচ উইন করার কিন্তু কেন হচ্চে না কিছু বলতে

পারবো না কারন আমি নিজে টিমের বাহিরে ।দলে যারা আছে তারা সবাই নিজেকে প্রমান করে আসছে আসলে ক্রিকেটে এরকম হয় ভাল খারাপ সময় শচিনের মত ক্রিকেটারের ও গেছে ।

*বিশ্বকাপের বাকী ম্যাচ গুলো তে এই দল নিয়ে কত টা আশাবাদী ?

আশরাফুল :আমি আশাবাদী এই দলের সামথ্যর্ আছে যে কোন দল কে হারাবার আমি বলব এই টাই বাংলাদেশের সেরা দল লাস্ট দুই বছর কিন্তু আমরা এই দলের সবাই কে নিয়ে অনেক ভাল এবং জয়লাভ করেছি কয়েক টা ক্লোজড ম্যাচ খেলেছি ।
ব্যাটিং নিয়ে কিছু বলবেন না সতীতর্ দের উদ্দেশ্যে ?

আশরাফুল: হাসি দিয়ে সবাই ভাল ব্যাটসম্যান অবশ্যই আমার চেয়ে ওরা ভাল খেলে তাই কিছু বলতে চাই না

*এর আগে আপনি সব কয়টি বিশ্বকাপ খেলেছেন
কিন্তু এই বিশ্বকাপে দলে নেই কেমন লাগে ?

আশরাফুল: হ্যা খেলেছি সেই সব বিশ্বকাপে কিন্তু আমরা আমাদের সামথর্্য অনুযারী খেলতে পারি নাই ।অবশ্যই খারাপ লাগে একজন ক্রিকেটারের কাছে সব সময় ভাল লাগে সে যখন খেলে মাঠে থাকে…..

*খেলতে না দেখতে ভাল লাগে ?

আশরাফুল:হাসি দিয়ে দুইটাই …

*দলের কাকে বেশি মিস করেন ?

আশরাফুল:আসলে সবাই কে মিস করি তবে ম্যাশ আর রাজ্জাক ভাই কে অনেক মিস করি ।

*বাংলাদেশ টিম সম্পকের্ কি কিছু বলতে চান ..?

আশরাফুল :হ্যা দলের জন্য শুভ কামনা রইল ইন্নশাআল্লাহ সবাই এই খারাপ সময় কাটিয়ে কাম ব্যাক করবে ।

#sajib

20140326-012900 am.jpg

20140326-012911 am.jpg

20140326-013014 am.jpg

ফরহাদ রেজা “2012′ T20বিশ্বকাপের দলে ছিল তখন কোথায় ছিলেন

22 Mar

এই দুই দিন সমালোচক দের কাছে একটি নাম ছিল Continue reading

বঙ্গবন্ধু কে শুধু একটি দলের নেতা নয় বাংলাদেশের নেতা হিসেবে দেখা উচিত

17 Mar

আমি বঙ্গবন্ধু কে দেখি নাই
আমি বঙ্গবন্ধুর ৭১ ” দেশ বিজয়ের কথা শুনেছি
আমি বঙ্গবন্ধুর কন্ঠ শুনি নাই
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সেই বজ্রর্ কন্ঠে দেওয়া
ঐতিহাসিক সাত মাচর্ের ভাষন শুনেছি
সেদিন থেকে আমি বঙ্গবন্ধু কে আদশর্ মেনে নিয়েছি
আমি বঙ্গবন্ধু কে দেখি নাই
কিন্তু তার আঙ্গুলের তজর্নী উচু করা মূতির্ দেখেছি।
সেই মূতির্ দেখে আমি একবার নয় বার বার বঙ্গবন্ধু কে দেখার ইচ্ছা পোষন করেছি ।
১৫ ই আগস্টে আমি একজন বাঙ্গালী হিসেবে
নিজে কে লজ্জিত মনে করি
আমি বার বার ভাবি কেন করল
কিভাবে করতে পারলো জাতির জনকের বুক গুলি

20140317-052533 am.jpg

20140317-052620 am.jpg

20140317-052704 am.jpg

“তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও “

15 Mar

আমি বারো মাস তোমায় ভালবাসি
তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও ”

আমি বারো মাস তোমার আশায় আছি
তুমি অবসর পাইলে আসিও …

আমি বারো মাস তোমায় ভালবাসি – গানের এই লাইন দিয়ে “এল আর বি “শুধু সাবালিকা কে বুঝাননি বুঝিয়েছেন নিজের জন্মভুমিকে কে তিনি বারো মাস ভালবাসেন
“তুমি সুযোগ পাইলে বন্ধু বাসিও
এই লাইন দিয়ে “এল আর বি “বুঝিয়েছেন
দেশের যখন সুযোগ হয় এরকম টি২০ অপেনিং চিরোমনি করার , তখন যেন তাকে একটু ভালবাসা হয়

একন এবং এ আর রহমানের যে সুযোগ দেওয়া হয় তাকে যেন সমান সুযোগ দেওয়া হয়
সুযোগ হলে তার জন্য যেন কয়েক টা হাত তালি হয়
এই আশায় “এল আর বি” বারো মাস আশায় থাকেন

কিন্তু আজ যে অপমান টা আইয়ুব বাচ্চু কে করা হয়েছে এ আর রহমান এবং একনের সামনে
তার জন্য দায়ী কে ??

একন ,এ আর রহমানরা যদিও বিশ্বসেরা সিংগার হয় তাহলে আইয়ুব বাচ্চু জেমস রা কোন অংশে কম নয় ……
পাথর্ক্য হল ইন্ডিয়া আর আমেরিকানরা তাদের নিজ দেশের গুনী ব্যক্তিদের হাইলাইট করে আর আমরা করি না !!!!
নিজ দেশের একটা লিজেন্ড শিল্পী কে এভাবে অপমান না করলেও হত
এল আর বির জন্য আমরা হাত তালি দিতে পারি না !!!হায়রে বাঙালী বিদেশী বলে তালি দিলা নিজ দেশের সোনা চিনলে না !!!

একজন আইয়ুব বাচ্চু কে সম্মান না দিলে আরেক টা আইয়ুব বাচ্চু পাওয়া বড় কঠিন ……
“বড় দু:খে আইয়ুব বাচ্চু বলেন দেশী বলেই ২০মিনিট তাই পর জনমে বিদেশী হয়ে জন্মাতে চাই”

ইতি্য মধ্যে তাহসান বলেছেন এদেশে কখনো কেউ লিজেন্ড হতে পারবে না ..!!
বাপ্পা বলেছেন -এ দেশের শিল্পীদের দু:ভাগ্য এদেশে জন্ম নিয়ে !!!!

নিজ দেশের শিল্পীদের যে অনুস্টানে সম্মান করা হয় না সেই অনুষ্টান কে আমার মিডিল ফিংগার ,,,,,,

20140315-041516 am.jpg

কেমন একাদশ চাই টি২০ বিশ্বকাপে :

15 Mar

কেমন একাদশ চাই টি২০ বিশ্বকাপে :
ক্রিকেটে একটি দলের সাফল্যের অনেক কিছু নিভর্র করে নিবাচর্কদেrউপর। ..

নিবাচর্কদের কাজ টা সব সময় Continue reading

Kendrick Lamar

10 Feb
26 Nov

নেটওয়ার্ক বিহীন জীবন

Motir Alo

31 May

শুধু আশরাফুল একা নন

কেঁচো খুঁড়তে সাপ—এই প্রবাদটার ইংরেজি ভাষ্য জানা থাকলে বিপিএল তদন্তে আসা আইসিসির দুর্নীতি দমন কমিশনের (আকসু) প্রতিনিধিদের নিশ্চয়ই তা মনে পড়েছে। মোহাম্মদ আশরাফুল যে এত বড় ‘বোমা’ ফাটাবেন, সেটি বোধ হয় তাঁদেরও ধারণার অতীত ছিল। এসেছিলেন বিপিএলে ফিক্সিং তদন্ত করতে। কিন্তু তাঁদের কাছে দেওয়া মোহাম্মদ আশরাফুলের স্বীকারোক্তি বিপিএলের সীমানা ছাড়িয়ে আলো ফেলেছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্ধকার এক জগতে। যেখানে বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার মোহাম্মদ আশরাফুলের উপস্থিতি তো আছেই, সঙ্গে জড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের সাবেক দুই অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ ও খালেদ মাসুদ এবং সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ রফিকের নামও।
সূত্র জানিয়েছে, আকসু প্রতিনিধিরা খোঁজখবর নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে এসেছেন বুঝতে পেরে বিপিএলে ম্যাচ পাতানো ও স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা জিজ্ঞাসাবাদের প্রথম দিনই স্বীকার করে ফেলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। দ্বিতীয় দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তিনবার স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেন। সেটির সূত্র ধরেই উঠে আসে বাংলাদেশের ওই তিন সাবেক ক্রিকেটারের নাম। আকসু প্রতিনিধিদের আশরাফুল বলেছেন, এই তিন ক্রিকেটারই তাঁকে অন্ধকার ওই জগতের সঙ্গে প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। আশরাফুলের ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র জানিয়েছে, প্রথম দিনেই বিপিএলে ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আসার পর আশরাফুল বুঝতে পারেন, শাস্তি তাঁকে পেতেই হবে। সেটির মাত্রা যাতে কম হয়, সেটি ভেবেই তিনি পরদিন সবকিছু খুলে বলার সিদ্ধান্ত নেন।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া আশরাফুলের জবানবন্দির টুকরাগুলো এক সুতায় গাঁথলে সেটি প্রায় রহস্যোপন্যাসের রূপ নেয়—
২০০৪ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে নিজেদের শততম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ হারিয়েছিল ভারতকে। পুরো দেশকে উৎসবে মাতিয়ে তোলা ওই দিনটিতেই আশরাফুলের গায়ে লাগে কলঙ্কের প্রথম ছিটা। ‘স্পট ফিক্সার’ হিসেবে আশরাফুলের অভিষেক এই ম্যাচেই। ম্যাচের আগের দিন টিম হোটেলেই জাভেদ নামে ভারতীয় এক বাজিকরের সঙ্গে আশরাফুলকে পরিচয় করিয়ে দেন খালেদ মাহমুদ, খালেদ মাসুদ ও মোহাম্মদ রফিক। সেখানেই জানানো হয় করণীয়—প্রথম ১৫ ওভারে কমপক্ষে ৬০ রান করতে হবে। সেটি বাংলাদেশ করেও ফেলে, যাতে এক চার ও দুই ছয়ে আশরাফুলের ৪১ বলে ২৮ রানের বড় ভূমিকা ছিল। এ জন্য আশরাফুল পান সাড়ে চার লাখ টাকা।
খালেদ মাসুদ প্রসঙ্গ এরপর আর আসেনি। তবে খালেদ মাহমুদ ও মোহাম্মদ রফিক এসেছেন বারবার। ২০০৯ সালে খালেদ মাহমুদ বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ নির্বাচিত হন। সে বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফেরার পর মাহমুদ সুনীল ভাটিয়া নামে এক ভারতীয় বাজিকরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন আশরাফুলকে। মাহমুদের বাসায় এই পরিচয় পর্বে মোহাম্মদ রফিকও উপস্থিত ছিলেন। সুনীল ভাটিয়া নামটি পাঠকের পরিচিত লাগতে পারে। কদিন আগে শ্রীশান্ত-কাণ্ডে ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছেন এই সুনীল। সুনীলের চাওয়া ছিল ‘খুব সামান্য’। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে লাঞ্চের পর নির্দিষ্ট তিন ওভারে ৬ রান করতে হবে। সেটি প্রথম ইনিংসে না দ্বিতীয় ইনিংসে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দুই ইনিংসেই লাঞ্চের আগে আউট হয়ে যাওয়ায় আশরাফুল ‘কাজ’টা করতে সক্ষম হননি।
টাকা অবশ্য অগ্রিমই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কাজ হয়নি বলে সেই সাত লাখ টাকা ফেরত চেয়ে আশরাফুলকে অনেক চাপ দিয়েছেন সুনীল ভাটিয়া। কখনো সরাসরি ফোন করে, কখনো বা মোহাম্মদ রফিকের মাধ্যমে। শেষ পর্যন্ত গত বছর আশরাফুল ওই সাত লাখ টাকা মোহাম্মদ রফিককে ফেরত দেন। কিন্তু সেটি আরেকটি অপকর্ম করে পাওয়া অর্থ থেকে। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্পট ফিক্সিং করে।
জাভেদ ও সুনীলের পর এখানেই দৃশ্যপটে আবির্ভাব আশরাফুলের ক্যারিয়ারের তৃতীয় বুকির। ২০০৭ সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পরই গান্ধী নামে এই ভারতীয় বুকি আশরাফুলকে প্রস্তাব দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। আশরাফুল তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছেন বলেই দাবি করেছেন আকসুর প্রতিনিধিদের কাছে। তবে গান্ধীর সঙ্গে আবারও আশরাফুলের যোগাযোগ হয় শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এসএলপিএল) খেলার সূত্রে। ইংল্যান্ডের ব্ল্যাকহিথে খেলতে যাওয়া আশরাফুলকে ফোন করে ২০১২ এসএলপিএলে রুহুনা রয়্যালসে খেলার প্রস্তাব দেয় গান্ধী। আশরাফুলও প্রস্তাবটা লুফে নেন। রয়্যালসের প্রথম ম্যাচে না খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই গান্ধী আশরাফুলকে ফোন করে জানান যে, পরদিন তিনি খেলছেন এবং তাতে ‘ছোট্ট’ একটা কাজ করার আছে। ৭-৮-৯—এই তিন ওভারে ১৪ রান করতে হবে। কিন্তু আশরাফুল ষষ্ঠ ওভারেই আউট হয়ে যান। তবে হয়তো ভবিষ্যতের কথা ভেবেই তাঁকে প্রতিশ্রুত ১০ হাজার ডলার দেওয়া হয়।
সেই ‘ভবিষ্যৎ’ কদিনের মধ্যেই চলে আসে। শ্রীলঙ্কায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গান্ধীর ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ পান আশরাফুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ইনিংসের ৫ ও ৬ ওভার মিলিয়ে ১০ রানের কম করতে হবে, বিনিময়ে দেওয়া হবে ২৫ লাখ টাকা। ওই দুই ওভারে ৮ রান হওয়ায় শর্ত পূরণ হয়। তাতে অবশ্যই আশরাফুলের বড় ভূমিকা। পাওয়ার প্লের মধ্যে ওই দুই ওভারে ৭ বল খেলে তিনি করেন ৫ রান। পঞ্চম ওভারের চতুর্থ বলে মুশফিকুরের আউট হয়ে যাওয়া এবং নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ দুটি ডট বল খেলায় কাজটা সহজ হয় তাঁর জন্য। ঢাকায় ফিরে আশরাফুলও ২৫ লাখ টাকা বুঝে পান। সেখান থেকেই সুনীল ভাটিয়ার সাত লাখ টাকা ফেরত দিয়ে আসেন রফিককে। তবে সুনীল সেই টাকা ফেরত না নিয়ে গত বিপিএলেও কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে গেছেন।
কদিন আগে দিল্লি পুলিশের সূত্র দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল, সুনীল ভাটিয়া বাংলাদেশের এক নামকরা ক্রিকেটারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে বলে জানিয়েছেন। পরে পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে এটি উড়িয়ে দিলেও আকসুর কাছে আশরাফুলের স্বীকারোক্তি প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে—সেই নামকরা ক্রিকেটারের নাম কি মোহাম্মদ রফিক?

মাহমুদ, মাসুদ ও রফিকের অস্বীকার
মোহাম্মদ আশরাফুলকে কোনো বুকির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন খালেদ মাসুদ, মোহাম্মদ রফিক ও খালেদ মাহমুদ। ফিক্সিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
কাল রাতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মাসুদ বলেন, ‘আমরা আশরাফুলকে কোনো বুকির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে নাই।’ রফিক বলেন, ‘এসব মিথ্যা কথা। আমি সহজ-সরল মানুষ, প্যাঁচঘোঁচ বুঝি না, জানিও না। যারা এসব বলছে, মিথ্যা বলছে।’ বুকি জাভেদ ও সুনীল ভাটিয়াকে চেনেন না বলেও দাবি করেন তিনি। একই দাবি মাহমুদেরও, ‘এটা সত্যি নয়। এ ছাড়া আর কী বলব?’

20130531-033229.jpg